সভাপতির বাণী

শিক্ষা মানব জীবনের আলোকবর্তিকা। একটি জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে তার শিক্ষার মানের উপর। শিক্ষা কেবল পরীক্ষায় ভালো ফল করার মাধ্যম নয় — এটি মানুষকে সচেতন, সৎ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সেই মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আজও সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে। আমি গর্বের সাথে বলতে পারি, আমাদের শিক্ষকবৃন্দ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সাথে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্রম, নৈতিক শিক্ষা এবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা চাই, প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে জীবনে সফল হোক এবং সমাজ ও দেশের কল্যাণে অবদান রাখুক। একটি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি অভিভাবক ও এলাকাবাসীর প্রতি, যারা আমাদের কাজে সবসময় সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করছেন আশা করি, আমাদের এই ঐক্য ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে, আর আমাদের প্রতিষ্ঠান একদিন ঘিওর, মানিকগঞ্জসহ সারা দেশের গর্ব হয়ে উঠবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্যিকার শিক্ষা ও জ্ঞানের পথে পরিচালিত করুন — এই দোয়া রইল।
অধ্যাক্ষের বাণী
আজকের শিশু কিশোর তরুণেরাই ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কর্ণধার। এদের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে অশেষ সম্ভাবনা ও বিপুল সৃজনী প্রতিভা। কোমলমতি শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরে স্ফুটনোম্মুখ মেধার সুষ্ঠু বিকাশ ও তার বহুমুখী সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের জন্য যথোপযুক্ত মাধ্যম প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকী এই অভাব অনেকাংশে পূরণ করে। শিক্ষার্থীর জন্য আত্মবিকাশের এমন একটি চমৎকার সুযোগ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দিতে পারছে বলে আমি গর্ববোধ করছি। একটি বার্ষিকী হল একটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কর্মকান্ডের দর্পণ। তাই এই বার্ষিকীর পাতায় প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে উত্তরণের দীর্ঘ ইতিহাসের সামান্য কিছু অংশ সুধী সমাজের অবগতির জন্য নিবেদন করতে চাই। বগুড়া শহরের উত্তর-পশ্চিমে নিশিন্দারা এলাকার অধিবাসীরা বরাবরই শিক্ষানুরাগী ও জ্ঞান পিপাশু অথচ অত্র এলাকায় ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়ের শিক্ষা বিশেষ করে নারী শিক্ষা উপেক্ষিত ছিল। এলাকার সন্তান হিসেবে আমাকে এ বিষয়টি গভীরভাবে পীড়া দিত।
শিক্ষার্থী তথ্য



